যুক্তরাষ্ট্রের সর্বনাশা সিদ্ধান্তের ফল হচ্ছে আইএস। ইরাক দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হোসেনের সমর্থকদের দেশটির সেনাবাহিনী থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। এর ফলেই আইএসের উত্থান হয়। এ মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। গত বৃহস্পতিবার চিলকোট রিপোর্ট প্রকাশের পর এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে হ্যামন্ড বলেন, ২০০৩ সালে ইরাক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক পল ব্রেমার দেশটির সেনাবাহিনী ভেঙে দেন। যাতে প্রায় ৪লাখ সেনা চাকরি হারিয়ে পথে নেমে আসে। ব্রেমারের ওই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে ভুল বলে প্রমাণিত হয়। পল ব্রেমারের ওই সিদ্ধান্ত আজকের আইএস-উত্থানের সাথে সরাসরি জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ ইরাকে আমরা যে সমস্যা দেখছি তার অনেকগুলোর মূলেই রয়েছে ওই সর্বনাশা সিদ্ধান্ত। যদি ওই সময় আমরা আমাদের পরিকল্পনা অন্যভাবে সাজাতাম তাহলে হয়তো অন্য ফল পেতাম।’
তিনি আরও বলেন, ওই সেনাদের আল-কায়দা, পরে আইএস-এ যোগ দেয়ায় এসব জঙ্গি সংগঠনের সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাঠকের মতামত: